জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি না করে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ভর্তুকি কমাতেই বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দেশের হতদরিদ্র মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই তো সরকার ভর্তুকি দেয়।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন, পরিবহন ও মার্কেটিংয়ের খরচ বৃদ্ধি পায়। এতে পণ্যমূল্য বেড়ে যাবে অনেক। এমনিতেই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা, তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী রূপে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ঘনবসতি এবং দরিদ্র দেশ হিসেবে সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহীম খান জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিরকার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শাহ-ই-আলম, ড. নুরুল আজহার শামীম, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. নোমান মিয়া, আবদুল হামিদ ভাসানী, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহাজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, ইফতেখার আহসান হাসান, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ আলম, আবু সাদেক সরদার বাদল, কিশোর কুমার, ফরিদ আলম ও কামরুল ইসলাম।